শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তিত্ব




বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তিত্ব



১. মূসা বিন শমসেরঃ

তিনি প্রিন্স মূসা নামে পরিচিত। তাকে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি বাণিজ্যের অগ্রদূত বলা হয়। তিনি ড্যাটকো গ্রুপের এর মালিক। তিনি প্রায় ৯৫০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।

২. সালমান এফ রহমানঃ
বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মালিক। তিনি প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।

৩. আহমেদ আকবর সোবহানঃ
তিনি হচ্ছেন বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মালিক। তিনি প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।

৪. এম এ হাশেমঃ
তিনি পারটেক্স গ্রুপ ও ইউসিবিএল ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তিনি প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।

৫. আজম জে চৌধুরীঃ
তিনি ইস্ট-কোস্ট গ্রুপের মালিক, প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং মবিল যমুনা লুব্রিক্যান্টের সোল এজেন্ট। তিনি প্রায় ৪১০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।

৬. গিয়াস উদ্দিন আল মামুনঃ
তিনি তারেক জিয়ার বন্ধু। তিনি রিয়েল স্টেট, হোটেল ও মিডিয়া ব্যবসায়ী।

৭. রাগিব আলীঃ
তিনি চা উৎপাদন ব্যাবসায় সফল একজন ব্যাবসায়ী। তিনি সাউথ ইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তিনি প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।

৮. শামসুদ্দিন খানঃ
তিনি একে খান এন্ড কোম্পানি লিঃ-এর চেয়ারম্যান এবং ডিরেক্টর। তিনিও প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।

৯. ঈকবাল আহমেদঃ
তিনি সিলেটের একজন ব্যাবসায়ী। সামুদ্রিক খাবার ব্যবসায় তিনি সফল। তিনি সীমার্ক গ্রুপ লিবকো ব্রাদার লিঃ-এর চেয়ারম্যান এবং ডিরেক্টর। তিনি প্রায় ২৫০-২৯০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।

১০. সাইফুল ইসলাম কামালঃ
তিনি নাভানা লিঃ ও নাভানা সিএনজি লিঃ-এর চেয়ারম্যান এবং ডিরেক্টর। তিনিও প্রায় ২৯০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।


বিশ্বের ১০ ধনী ব্যক্তিত্ব:



ওয়ারেন এডওয়ার্ড বাফেট:
জন্ম ১৯৩০ সালের ৩০ আগস্ট। তিনি একজন মার্কিন ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং জনহিতৈষী ব্যক্তি। তাকে বিংশ শতকের সবচেয়ে সফল বিনিয়োগকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাফেট বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী। তিনি ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। ২০১১ সালে বাফেট বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি ছিলেন। ২০১২ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি ঘোষণা করে। বিপুল ধনসম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও ওয়ারেন বাফেট অত্যন্ত মিতব্যয়ী। বাফেট একজন প্রখ্যাত জনহিতৈষী ব্যক্তি। তিনি তার সম্পদের ৯৯ শতাংশ জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য দান করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। ২০১২ সালে তার প্রস্টেট ক্যানসার ধরা পড়ে। ২০০৮ সালে বাফেট বিল গেটসকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ফোর্বসের মতে, ৬২ বিলিয়ন ডলার ও ইয়াহুর মতে, ৫৮ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে গেটস পুনরায় ফোর্বসের বিশ্বের সবচেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন, যা তিনি ২০০৮ সালের আগে ধারাবাহিকভাবে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে অধিকার করেছিলেন। ২০০৯ সালে বিল গেটসের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪০ বিলিয়ন ও বাফেটের ৩৭ বিলিয়ন ডলার। ফোর্বসের সমীক্ষা মতে, তার অবস্থান তৃতীয় এবং তার সম্পদের পরিমাণ ৬০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।


জেফ বেজোস:
জেফ বেজোস দখল করেছেন ফোর্বস তালিকার পঞ্চম স্থান। পুরো নাম জেফরি প্রেস্টন জর্গেনসেন। তার জন্ম ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি, (বয়স ৫০) নিউ মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় (ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন ইঞ্জিনিয়ারিং) তিনি অ্যামাজন.কম-এর চেয়ারম্যান এবং সিইওতার মোট সম্পদের পরিমান ৪৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।


চার্লস কোচ:
জন্ম ১৯৩৫ সালের ১ নভেম্বর। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভাই হলেন কোচ ভাইয়েরা। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রাইভেট কোম্পানির কোচ শিল্পগোষ্ঠীটির মালিক তারা। তাদের কোম্পানির বর্তমান মূল্য ১১৫ বিলিয়ন ডলার। কোচ ভাইদের মধ্যে বড় চার্লস ডি গানাহ কোচ বা চার্লস কোচ ‘কোচ ইন্ডাস্ট্রির’র সহ-স্বত্বাধিকারী, বোর্ড চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। জন্ম ১৯৩৫ সালের ১ নভেম্বর। এমএসসি করেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে। পড়াশোনা শেষ করে কর্মজীবন শুরু করেন আন্তর্জাতিক ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট ফর্ম অরথুর ডি. লিটিলে। ১৯৬১ সালে তিনি ফিরে আসেন উইচিতায়া এবং বাবার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রক আইল্যান্ড ওয়েল অ্যান্ড রিফাইনিং কোম্পানিতে যোগদান করেন। কোচের ব্যবসায় দর্শন হলো বাজারভিত্তিক ব্যবস্থাপনা; যা তিনি ২০০৭ সালে বিশাদভাবে তুলে ধরেন তার গ্রন্থ ‘সাইন্স অব সাকসেস’-এ। দুই সন্তানের জনক ৭৮ বছর বয়স্ক কোচের সম্পদের পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ডলার।


বিল গেটস:
ফোর্বসের তালিকায়, বরাবরের মতো তালিকার শীর্ষে বিল গেটস। পুরো নাম উইলিয়াম হেনরি গেটস। উইলিয়াম হেনরি গেটস বা বিল গেটসের জন্ম ১৯৫৫ সালের ২৮ অক্টোবর। তিনি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান, সাবেক প্রধান সফটওয়্যার নির্মাতা এবং সাবেক সিইও। একাধারে ১৩ বছর তিনি পৃথিবীর সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ১৯৯৪ সালের ১ জানুয়ারি মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চকে বিয়ে করেন। তার বাবার নাম উইলিয়াম হেনরি গেটস সিনিয়র, যিনি একজন প্রসিদ্ধ আইনজীবী। মায়ের নাম মেরি ম্যাক্সয়েল গেটস। গেটসের ক্রিস্টিয়েন নামে এক বড় বোন আর লিব্বি নামের এক ছোট বোন আছে। শৈশবে বাবা-মা তাকে আইনজীবী বানাতে চেয়েছিলেন। ১৩ বছর বয়সে তিনি লেকসাইড স্কুলে ভর্তি হন। তিনি স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০-এর মধ্যে ১৫৯০ নম্বর পান এবং ১৯৭৩ সালে হার্ভার্ড কলেজে ভর্তি হন এবং পড়াশোনা শুরু করেন। তবে তা শেষ করতে পারেননি। তিনি ১৯৮৫ সালের ২০ নভেম্বর মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১.০ সংস্করণ প্রকাশ করেন। ফোর্বসের মতে, মাইক্রোসফটের মাধ্যমেই তিনি তার সমুদয় অর্থ উপার্জন করেন। তার বর্তমান মোট সম্পদের পরিমাণ ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।



কার্লোস সিম হেলু:
কার্লোস সিম হেলু ছিলেন ২০১৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বসেরা ধনী। কার্লোস সিম হেলু জন্মেছেন ১৯৪০ সালের ২৮ জানুয়ারি। তার জন্মস্থান মেক্সিকোয়। তিনি বর্তমানে থাকেনও মেক্সিকোয়। পড়াশোনা করেছেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর। ছোটবেলা থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন বড় হয়ে বিজনেসম্যান হবেন, তার বড় ব্যবসা থাকবে। কে জানত তখনকার স্বপ্ন দেখা এ বালকই আজকের কার্লোস সিম হয়ে যাবেন, যিনি কিনা বিশ্বের সেরা ধনীদের একজন। ২০০৭, ২০১০ এবং ২০১৩ সালে তিনি বিশ্বের সেরা ধনী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার ব্যবসার প্রীতি আরও স্পষ্ট হবে, তার শৈশব সম্পর্কে কয়েকটা উদাহরণ দিলে। তিনি প্রথম ইনভেস্ট করেন যখন তার বয়স মাত্র ১১ বছর, যা আমরা কখনো চিন্তাও করতে পারি না। তিনি সরকারের একটি সেভিং বন্ড কেনেন এবং সেখান থেকেই মূলত তিনি ইন্টারেস্ট বা লভ্যাংশ সম্পর্কে ধারণা পান। ১২ বছর বয়সে তার প্রথম স্টক শেয়ার ক্রয় করেন মেক্সিকান ব্যাংক থেকে। তার ব্যবসায়িক মনোভাব প্রকাশ পায় ১২ বছরের পর থেকেই। তার বয়স ১২ থেকে ১৫ বছর হওয়া পর্যন্ত এই তিন বছরে তিনি মেক্সিকোর সবচেয়ে বড় ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডার বনে যান, যা সত্যিই অকল্পনীয়। চার বছরের মধ্যে তার ইনভেস্টকৃত টাকা বেড়ে ৪ লাখ ইউএস ডলারে দাঁড়ায়। ১৯৯০ সালের পর তিনি টেলিকম ব্যবসার দিকে ঝুঁকে পড়েন। ২০০৫ সালে তিনি বিনিয়োগ করেন ভোলারিস নামের একটি এয়ারলাইনস বিজনেসে। ২০১৫ সালে তিনি তার টেলিকম বিজনেস থেকে ২৭ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থ লস করেন। হেলুর অবস্থান চতুর্থ এবং তার সম্পদের পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন ডলার।


ল্যারি এলিসন:
জন্ম ১৯৪৪ সালের ১৭ আগস্ট। তার পুরো নাম লরেন্স জোসেফ এলিসন। তবে প্রযুক্তিবিশ্ব তাকে একনামে চেনে ল্যারি এলিসন হিসেবেই। তিনি ওরাকল করপোরেশনের অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী। ১৯৪৪ সালের ১৭ আগস্ট জন্মগ্রহণ করা ল্যারি তার শিক্ষাজীবনে ছিলেন অত্যন্ত অমনোযোগী। বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভর্তি হলেও শেষ পর্যন্ত সফলভাবে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি। এর মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোয় পড়ার সময় তিনি প্রথম পরিচিত হন কম্পিউটার ডিজাইনের সঙ্গে। ১৯৬৪ সালে তিনি স্থায়ীভাবে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে আসেন। সত্তরের দশকে তিনি এমডাল করপোরেশনের কাজ শুরু করেন। এখানে তার একটি কাজ ছিল সিআইএর জন্য ডেটাবেজ তৈরি করা। এ কাজ করতে গিয়ে তিনি উৎসাহী হয়ে ওঠেন ডেটাবেজ নিয়ে কাজ করতে। ১৯৭৭ সালে তিনি গড়ে তোলেন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরিজ। পরে ১৯৭৯ সালে এরই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়া ওরাকল। দুই সন্তানের জনক ৬৯ বছর বয়স্ক ল্যারি এলিসনের সম্পদের পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন ডলার। থাকেন ক্যালিফোর্নিয়ার উডসাইডে। এবারের তালিকায় তিনি আছেন সপ্তম অবস্থানে। তার মোট সম্পদ হিসাব করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।


ডেভিড কোচ:
জন্ম ১৯৪০ সালের ৩ মে। শীর্ষ ধনীদের তালিকায় বড় ভাই চার্লস কোচের পরেই রয়েছেন ডেভিড হ্যামিলটন কোচ। মার্কিন এই দাপুটে ব্যবসায়ী, মানবমিত্র, রাজনৈতিক কর্মী এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাস অঙ্গরাজ্যের উইচিতা শহরে ১৯৪০ সালের ৩ মে। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেন এমআইটি থেকে। বড় ভাই চার্লস কোচের সঙ্গে তিনিও ‘কোচ ইন্ড্রাস্টি’র সহ-স্বত্বাধিকারী। কোচ ইন্ড্রাস্টিতে দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের খনি, জ্বালানি ও রাসায়নিক খাতে কানসালট্যান্টভিত্তিক কোচ শিল্পগোষ্ঠীটির বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। সর্বশেষ তথ্যানুসারে তিন সন্তানের জনক ৭৩ বছর বয়স্ক চার্লস কোচের সম্পদের পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ডলার। থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। ২০১৩ সাল থেকে তিনি নিউইয়র্ক শহরের সবচেয়ে বিত্তশালী ব্যক্তি। দানবীর হিসেবে ডেভিড কোচের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। লিংকলন সেন্টার, নিউইয়ার্ক প্রেসব্রাইটান হাসপাতাল, আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রিসহ বেশ কিছু সামাজিক সংগঠনের তহবিল জোগান।


মাইকেল ব্লুমবার্গ:
২০০২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। জন্ম ১৯৪২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। তিনি ব্লুম বার্গ এলপির সিইও হিসেবেই বেশি পরিচিত। ফোর্বসের সমীক্ষায় তার অবস্থা সেরা ধনীদের তালিকায় অষ্টম। তার সম্পদ আছে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের।


মার্ক জাকারবার্গ:
মার্ক জাকারবার্গ বা মার্ক জুকারবার্গ জন্ম ১৯৮৪ সালের ১৪ মে; একজন আমেরিকান কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার ডেভেলপার। তার পুরো নাম মার্ক এলিয়ট জাকারবার্গ, যার আসল পরিচিতি হলো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। তিনি বর্তমানে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রেসিডেন্ট। জাকারবার্গ এবং তার কয়েকজন সহপাঠী মিলে ২০০৪ সালে এটিকে একটি ব্যক্তিমালিকানা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন; যখন তিনি হার্ভাড ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই জাকারবার্গ টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে বছরের সেরা ব্যক্তিরূপে নির্বাচিত হয়েছেন। ফোর্বস সমীক্ষায় তার অবস্থান ষষ্ঠ। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।


এমানিকো অর্তেগা:
দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন এমানিকো অর্তেগা। ‘জারা’-এর প্রতিষ্ঠাতা এমানিকো অর্তেগা ইউরোপের সবচেয়ে ধনী হিসেবে পরিচিত। তিনি শুরু করেছিলেন ছোট একটি গার্মেন্টস দিয়ে। এটা ঠিক গার্মেন্টস ও না, কাপড় সেলাই করার ছোট একটি দোকানও বলা যেতে পারে একে। এমানিকো অর্তেগা জন্মগ্রহণ করেছেন ১৯৩৬ সালের ২৮ মার্চ স্পেনে। তিনি তার শৈশব কাটিয়েছেন স্পেনের লিওনে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি তার স্কুল ছেড়ে দিতে বাধ্য হন, এমনকি তাদের লিওন শহর ও ছেড়ে দিতে হয়েছিল। তার বাবা ছিলেন পেশায় একজন রেলওয়ের শ্রমিক। তার চাকরির কারণে এমানিকো অর্তেগো আর স্কুলে যেতে পারেননি। ১৪ বছর বয়সেই এমানিকো কাজে যোগ দেন। তিনি গালা নামক একটা শার্টের দোকানে চাকরি নেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, দোকানটি আজও একই জায়গায় আছে। জারা ছাড়াও বর্তমানে সারা পৃথিবীতে এমানিকোর প্রায় ৬ হাজারের মতো আলাদা আলাদা স্টোর আছে। যার ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় ৯২ হাজার কর্মচারী। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৬৭ বিলিয়ন ডলার।

No comments

Powered by Blogger.